নিজের পৃথিবীর ব্যাসার্ধ কমানঃ


প্রস্তাবনাঃ
সময় ভাল যাচ্ছে না । আকাশে গুমোট মেঘের মত মনের ভিতর হতাশার মেঘ ঘনীভূত হচ্ছে। দিন দিন নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছি। নিজের পৃথিবী যত ছোট করা যায় ততই উত্তম। বৃহৎ পৃথিবী তার মানুষদের থেকে বৃহৎ কিছু আশা করে। ক্ষুদ্রের চাওয়া-পাওয়া ক্ষুদ্র। জানি, মানুষ বড় হতে চাই। কিন্তু একবার কেউ যদি ক্ষুদ্র পৃথিবীর মজা পেয়ে যাই , আমার ধারনা সে আর বৃহৎ মুখো হবে না।
নিজের পৃথিবী ছোট করার কিছু উপায়ঃ
১। ঘুমঃ নিজের গণ্ডি বা পৃথিবী ছোট করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি এটি। ঘুম আপনার গণ্ডিকে চার দেয়ালের মধ্যে একটি বিছানায় সীমাবদ্ধ রাখে। ফলে পার্থিব অপার্থিব সকল পাপ কাজ ভাল কাজ থেকে আপনি বিরত থাকবেন। আপনার ঘুমের সময় পৃথিবীতে অনেক কিছুই ঘটে যাবে যার মধ্যে আপনি থাকবেন না। তার মানে আপনার পৃথিবী ছোট হতে শুরু করেছে।
২। বন্ধু সংখ্যা কমানঃ
       পুরাতন কিছু বন্ধুত্ব স্থির রেখে নতুন বন্ধুত্ব স্থাপন থেকে বিরত থাকুন। অধিক বন্ধু আপনার পৃথিবীর ব্যাসার্ধ বাড়াবে কিন্তু বন্ধুত্বের আকর্ষণ বাড়াবে না। এটা অনেকটা পরমাণুতে ইলেকট্রন বিন্যাসের মত। পৃথিবীর পরিধি বাড়ার হার বন্ধু সংখ্যা বাড়ার সমানুপাতিক।আর বন্ধুতের আকর্ষণ বন্ধু সংখ্যার ব্যাস্তানুপাতিক।

৩। বইকে বন্ধু করুনঃ
       বইয়ের সাথে বন্ধুত্ব গরে তুলতে পারেন। এর কোন সাইড ইফেক্ট নেই। তবে আপনার কল্পনার জগতের ব্যাসার্ধ কিন্তু এটার জন্য বৃদ্ধি পাবে। যাদের কল্পনাতে এলারজি আছে তারা এই ধাপটা বাদ দিতে পারেন।
৪।ডায়েরি লিখুনঃ
       কথা বলতে ইচ্ছা করলে সাদা কাগজে লিখে ফেলুন। অর্থাৎ ডায়েরি লেখার অভ্যাস গরে তুলুন। দেখবেন একদিন কথা বলার চেয়ে লিখতে বেশি ভাল অনুভব করছেন। এর পদ্ধতির একটা বাড়তি সুবিধা হচ্ছে একদিন আপনি ভাল লেখক হয়ে যেতে পারেন।

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ জাকারিয়ার উপদেশ মনুষ্য জাতির জন্য ক্ষতিকর।
বি দ্রঃ এই লেখায় অনুপ্রাণিত হতে চাইলেও নিজ দায়িত্বে হবেন, না হতে চাইলেও নিজ দায়িত্বে হবেন।

মন্তব্যসমূহ